বাংলাদেশীদের ব্যবসার জন্য বলিভিয়া -
যাদের ব্যবসায়িক
দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে তাদের জন্য বলিভিয়া একটি অন্যতম সম্ভাবনাময় রাষ্ট্র। তাই যারা ব্যবসায়িক মানসিকতা
নিয়ে বলিভিয়া আসলে প্রচুর লাভবান হওয়া যায়। যেখানে মধ্যপ্রাচ্যের
দেশগুলো এখন এদেশীদের জন্য অনুকুল নয়। সেখানে ল্যাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়া ও
ব্রাজিলে রয়েছে বড় সম্ভাবনা এবং বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় বিকল্প হিসেবে বিবেচিত
হতে পারে। বলিভিয়ায় বেশ কয়েকবছর আগে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার
মুখোমুখি হলেও ২০০৪ সালে
বলিভিয়া বিশ্বের সবচেয়ে উদ্যোক্তা দেশ হিসেবে নামকরণ করা হয় এবং তখন থেকেই
এন্টারপ্রেনরশিপের শীর্ষে অবস্থান করে। বৈদেশিক বিনিয়োগ সংক্রান্ত নতুন আইন বাস্তবায়নের জন্য বলিভিয়ার আন্তর্জাতিক
ইমেজকে ব্যবসা করার স্থান হিসেবে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করা হয়েছে। বলিভিয়ার
সংবিধান স্বাক্ষরিত,
শ্রদ্ধা এবং দেশীয় ও বিদেশী
বিনিয়োগকে রক্ষা করে। এই জন্য এবং অন্যান্য কারণে, বিনিয়োগকারী এবং বেসরকারী বিদেশী কোম্পানিগুলি প্রকৃতপক্ষে বিনিয়োগ করার
সময় ভয় পায় না বলিভিয়ায়।
উল্লেখ্য যে, পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলীয় বলিভিয়া ভৌগোলিক ও সামাজিকভাবে উভয়ই রাতের এবং দিনের মতই ভিন্ন। পশ্চিমাঞ্চল, পর্বতশৃঙ্গের অর্ধেক কম শিল্প ও কৃষি রয়েছে এবং সরকারি চাকরি ও সেবা, বস্ত্র, ক্ষুদ্র কৃষক, খনির, পর্যটন ও সেবাগুলিতে ব্যবসা ফোকাস রয়েছে। দেশের পূর্ব অংশ মূলত রমাস এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং ভৌগোলিকভাবে বিস্তৃত। এখানে বড় আকারের কৃষি, গবাদি পশু খামার, শিল্প ও রপ্তানিতে বিনিয়োগ করা যায়। বলিভিয়ার বৃহত্তম শহর রাষ্ট্র সান্তা ক্রুজ, দেশের অর্থনৈতিক মুলে রয়েছে শিল্প ও কৃষি। বলিভিয়ানরাও নিশ্চিত করতে চায় যে, বলিভিয়ার সরকার নিরাপদে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ প্রদান করে।
উল্লেখ্য যে, পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলীয় বলিভিয়া ভৌগোলিক ও সামাজিকভাবে উভয়ই রাতের এবং দিনের মতই ভিন্ন। পশ্চিমাঞ্চল, পর্বতশৃঙ্গের অর্ধেক কম শিল্প ও কৃষি রয়েছে এবং সরকারি চাকরি ও সেবা, বস্ত্র, ক্ষুদ্র কৃষক, খনির, পর্যটন ও সেবাগুলিতে ব্যবসা ফোকাস রয়েছে। দেশের পূর্ব অংশ মূলত রমাস এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং ভৌগোলিকভাবে বিস্তৃত। এখানে বড় আকারের কৃষি, গবাদি পশু খামার, শিল্প ও রপ্তানিতে বিনিয়োগ করা যায়। বলিভিয়ার বৃহত্তম শহর রাষ্ট্র সান্তা ক্রুজ, দেশের অর্থনৈতিক মুলে রয়েছে শিল্প ও কৃষি। বলিভিয়ানরাও নিশ্চিত করতে চায় যে, বলিভিয়ার সরকার নিরাপদে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ প্রদান করে।
রেষ্টুরেন্ট ও খাবারের ব্যবসা :
প্রতিদিন নিরামিষভোজী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বলিভিয়ায় সবজি জাতীয় খাবারের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এখানে prepackaged নিরামিষ খাদ্য বিক্রির হারও বেশি। কিন্তু সে তুলনায় এ ধরনের রেষ্টুরেন্ট তুলনামুলক কম। মাত্র হাতে গনা কয়েকজন বাংলাদেশী ও ইন্ডিয়ান এই ব্যবসা করে ভালই ইনকাম করে যাচ্ছে। আপনি যদি নিরামিষ রান্না বা সবজি রান্নার ধারনা থাকে তাহলে আপনিও হতে পারেন বলিভিয়ায় একজন সফল ব্যবসায়ী। ইনকাম করতে পারেন মধ্যপ্রাচ্য থেকে কয়েকগুন বেশি। বলিভিয়ায় সান্তা ক্রুজ একটি প্রসিদ্ধ শহর। এখানে বেশ কয়েকটি ভারতীয় খাদ্যের রেস্টুরেন্ট আছে, বেশিরভাগই সেন্ট্রোতে। তবে একজন বলিভিয়ায় বেশ কয়েকবার গেছেন এমন একজন লোকের কাছে জেনেছি এই ধরনের রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য ৪র্থ রিং নামক জায়গায় বেশি সফল হতে পারে। কারন এখানে নিরামিশভোজি ও সবজি ভিত্তিক খাবারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
লাঞ্চ ডেলিভারী : বলিভিয়ায় রয়েছে লাঞ্চ ডেলিভারী ব্যবসার সুবিধা এবং চাহিদাও প্রচুর। বড় বড় হোটেলসমুহও লাঞ্চ ডেলিভারীর জন্য এজেন্ট খুজে। তবে এই ব্যবসা শুরু করার আগে স্থানীয় স্বাস্থ্য বোর্ড থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হয় । এই খাবারের অর্ডার অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় অর্ডারও প্রচুর। নিজে না করেও বড় হোটেল থেকে ডেলিভারীর এজেন্ট নেয়া যায়। এতে মাসিক ১০০০ ডলার এর উর্দ্ধে আয় করা যায়।
কাপড়ের ব্যবসা : বলিভিয়ায় কাপড়ের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। তাদের নিজস্ব কাপড় তৈরীর শিল্প না থাকায় বিশেষ করে চিলি ও আমে রিকা থেকে আমদানী করতে হয়। খুচরা ব্যবসায়ীরা কাপড়ের ব্যবসা করে প্রচুর লাভ করে থাকে। তবে ঐ দেশগুলোতে কাপড়ের দাম বেশি। বলিভিয়ান মেয়েরা প্যান্টের চাইতে স্কার্ট বেশি পছন্দ করে। আর তারা কেনা কাটা বেশি পছন্দ করে। তাদের একটা বিশেষ বৈশিষ্ঠ হচ্ছে তারা যদি একবার কাউকে বিশ্বাস করে তাহলে তার কাছ থেকেই সব কেনাকাটা ও পরামর্শ নেবে। যদি বাংলাদেশ থেকে চাহিদা মোতাবেক কাপড় আমদানী করে ব্যবসা করতে পারে তাহলে দ্বিগুন লাভ করা যাবে।
অন্যান্য ব্যবসা : অন্যান্য ব্যবসার সম্ভাবনাময় ব্যবসা হচ্ছে কৃষি জমির ব্যবসা। এখানে কৃষি জমি নামমাত্র মূল্যে কেনা যায় এবং বিদেশিদের জন্য জমি কেনার অনুমোদন রয়েছে। ঘর/বাড়ী কেনার সুবিধা যাহা ক্রয় করে আপনি ভাড়া বা নিজে থাকতে পারেন। বলিভিয়ান সরকার থেকে জমি নিয়ে গাছ বাগান ও গবাধি পশুর খামার, মুরগির খামার করেও প্রচুর ইনকাম করা যায়।
ব্যবসার জন্য পুজি : বলিভিয়ায় ব্যবসা করতে
তেমন পুজি লাগে না। আমাদের দেশের মতো সেলামি বা এডভাঞ্চ দিয়ে ব্যবসা করতে হয় না।
স্থানীয় প্রশাসন থেকে অনুমোদন নিয়ে জায়গা ক্রয় করে কিংবা স্বল্প পরিমান টাকা দিয়ে
ব্যবসা করে প্রচুর ইনকাম করা যায়। বাংলাদেশী টাকায় ৭/৮ লক্ষ টাকায়
সুন্দরভাবে ব্যবসা করে মধ্যপ্রাচ্য থেকেও
অধিক পরিমান লাভ করা যায়।