Friday, January 12, 2018

বাংলাদেশীদের ব্যবসার জন্য বলিভিয়া -


যাদের ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে তাদের জন্য বলিভিয়া একটি অন্যতম সম্ভাবনাময় রাষ্ট্র। তাই যারা ব্যবসায়িক মানসিকতা নিয়ে বলিভিয়া আসলে প্রচুর লাভবান হওয়া যায়। যেখানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এখন এদেশীদের জন্য অনুকুল নয়। সেখানে ল্যাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়া ও ব্রাজিলে রয়েছে বড় সম্ভাবনা এবং বিনিয়োগর জন্য একটি আকর্ষণীয় বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। বলিভিয়ায় বেশ কয়েকবছর আগে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মুখোমুখি হলেও ২০০৪ সালে বলিভিয়া বিশ্বের সবচেয়ে উদ্যোক্তা দেশ হিসেবে নামকরণ করা হয় এবং তখন থেকেই এন্টারপ্রেনরশিপের শীর্ষে অবস্থান করে। বৈদেশিক বিনিয়োগ সংক্রান্ত নতুন আইন বাস্তবায়নের জন্য বলিভিয়ার আন্তর্জাতিক ইমেজকে ব্যবসা করার স্থান হিসেবে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করা হয়েছে। বলিভিয়ার সংবিধান স্বাক্ষরিত, শ্রদ্ধা এবং দেশীয় ও বিদেশী বিনিয়োগকে রক্ষা করে। এই জন্য এবং অন্যান্য কারণে, বিনিয়োগকারী এবং বেসরকারী বিদেশী কোম্পানিগুলি প্রকৃতপক্ষে বিনিয়োগ করার সময় ভয় পায় না বলিভিয়ায় 
উল্লেখ্য যে, পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলীয় বলিভিয়া ভৌগোলিক ও সামাজিকভাবে উভয়ই রাতের এবং দিনের মতই ভিন্ন। পশ্চিমাঞ্চল, পর্বতশৃঙ্গের অর্ধেক কম শিল্প ও কৃষি রয়েছে এবং সরকারি চাকরি ও সেবা, বস্ত্র, ক্ষুদ্র কৃষক, খনির, পর্যটন ও সেবাগুলিতে ব্যবসা ফোকাস রয়েছে। দেশের পূর্ব অংশ মূলত রমাস এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং ভৌগোলিকভাবে বিস্তৃত। এখানে বড় আকারের কৃষি, গবাদি পশু খামার, শিল্প ও রপ্তানিতে বিনিয়োগ করা যায়। বলিভিয়ার বৃহত্তম শহর রাষ্ট্র সান্তা ক্রুজ, দেশের অর্থনৈতিক মুলে রয়েছে শিল্প ও কৃষি। বলিভিয়ানরা নিশ্চিত করতে চায় যে, বলিভিয়ার সরকার নিরাপদ বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ প্রদান করে
 
রেষ্টুরেন্ট ও খাবারের ব্যবসা :
প্রতিদিন নিরামিষভোজী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বলিভিয়ায় সবজি জাতীয় খাবারের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এখানে  prepackaged নিরামিষ খাদ্য বিক্রির হারও বেশি। কিন্তু সে তুলনায় এ ধরনের রেষ্টুরেন্ট তুলনামুলক কম। মাত্র হাতে গনা কয়েকজন বাংলাদেশী ও ইন্ডিয়ান এই ব্যবসা করে ভালই ইনকাম করে যাচ্ছে। আপনি যদি নিরামিষ রান্না বা সবজি রান্নার ধারনা থাকে তাহলে আপনিও হতে পারেন বলিভিয়ায় একজন সফল ব্যবসায়ী। ইনকাম করতে পারেন মধ্যপ্রাচ্য থেকে কয়েকগুন বেশি। বলিভিয়ায় সান্তা ক্রুজ একটি প্রসিদ্ধ শহর। এখানে বেশ  কয়েকটি ভারতীয় খাদ্যের রেস্টুরেন্ট আছে, বেশিরভাগই সেন্ট্রোতেতবে একজন বলিভিয়ায় বেশ কয়েকবার গেছেন এমন একজন লোকের কাছে জেনেছি এই ধরনের রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য ৪র্থ রিং নামক জায়গায় বেশি সফল হতে পারেকারন এখানে নিরামিশভোজি ও সবজি ভিত্তিক খাবারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। 
 
লাঞ্চ ডেলিভারী : বলিভিয়ায় রয়েছে লাঞ্চ ডেলিভারী ব্যবসার সুবিধা এবং চাহিদাও প্রচুর। বড় বড় হোটেলসমুহও লাঞ্চ ডেলিভারীর জন্য এজেন্ট খুজে। তবে এই ব্যবসা শুরু করার আগে স্থানীয় স্বাস্থ্য বোর্ড থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হয়  এই খাবারের অর্ডার অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় অর্ডারও প্রচুর। নিজে না করেও বড় হোটেল থেকে ডেলিভারীর এজেন্ট নেয়া যায়। এতে মাসিক ১০০০ ডলার এর উর্দ্ধে আয় করা যায়।  
 
কাপড়ের ব্যবসা : বলিভিয়ায় কাপড়ের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। তাদের নিজস্ব কাপড় তৈরীর শিল্প না থাকায় বিশেষ করে চিলি ও আমে
রিকা থেকে আমদানী করতে হয়। খুচরা ব্যবসায়ীরা কাপড়ের ব্যবসা করে প্রচুর লাভ করে থাকে। তবে ঐ দেশগুলোতে কাপড়ের দাম বেশি। বলিভিয়ান মেয়েরা প্যান্টের চাইতে স্কার্ট বেশি পছন্দ করে। আর তারা কেনা কাটা বেশি পছন্দ করে। তাদের একটা বিশেষ বৈশিষ্ঠ হচ্ছে তারা যদি একবার কাউকে বিশ্বাস করে তাহলে তার কাছ থেকেই সব কেনাকাটা ও পরামর্শ নেবে। যদি বাংলাদেশ থেকে চাহিদা মোতাবেক কাপড় আমদানী করে ব্যবসা করতে পারে তাহলে দ্বিগুন লাভ করা যাবে।
 
অন্যান্য ব্যবসা : অন্যান্য ব্যবসার সম্ভাবনাময় ব্যবসা হচ্ছে কৃষি জমির ব্যবসা। এখানে কৃষি জমি নামমাত্র মূল্যে কেনা যায় এবং বিদেশিদের জন্য জমি কেনার অনুমোদন রয়েছে। ঘর/বাড়ী কেনার সুবিধা যাহা ক্রয় করে আপনি ভাড়া বা নিজে থাকতে পারেন। বলিভিয়ান সরকার থেকে জমি নিয়ে গাছ বাগান ও গবাধি পশুর খামার, মুরগির খামার করেও প্রচুর ইনকাম করা যায়।
 
ব্যবসার জন্য পুজি : বলিভিয়ায় ব্যবসা করতে তেমন পুজি লাগে না। আমাদের দেশের মতো সেলামি বা এডভাঞ্চ দিয়ে ব্যবসা করতে হয় না। স্থানীয় প্রশাসন থেকে অনুমোদন নিয়ে জায়গা ক্রয় করে কিংবা স্বল্প পরিমান টাকা দিয়ে ব্যবসা করে প্রচুর ইনকাম করা যায়। বাংলাদেশী টাকায় ৭/৮ লক্ষ টাকায় সুন্দরভাবে ব্যবসা  করে মধ্যপ্রাচ্য থেকেও অধিক পরিমান লাভ করা যায়।

Monday, January 8, 2018

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে ১৩ টি কার্যকরী পদক্ষেপ


ডায়াবেটিস কি?ডায়াবেটিস একটি জটিল অবস্থা যা পুরো শরীরকে প্রভাবিত করতে পারে। বাংলাতে এটিকে বলা হয় বহুমুত্র। ডায়াবেটিস প্রতিদিনের যত্নের প্রয়োজন হয় এবং যদি জটিলতার বিকাশ হয়, ডায়াবেটিস জীবনের গুণমানের উপর একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে এবং জীবন প্রত্যাশা কমাতে পারে। যদিও বর্তমানে ডায়াবেটিস কোন প্রতিকার নেই, আমরা ডায়াবেটিক সম্পর্কে জানতে এবং কার্যকরভাবে জীবন পরিচালনার মাধ্যমে জীবনকে উপভোগ্য করে তোলা যায়
 
ডায়াবেটিস কীভাবে শরীরকে প্রভাবিত করে?
যখন শরীরে ডায়াবেটিস ডানা বাধে তখন শরীরের রক্তে গ্লুকোজের সুস্থ স্তর বজায় রাখা যায় না। গ্লুকোজ আমাদের শরীরের শক্তি প্রধান উৎস রক্তে গ্লুকোজের অতি মাত্রায় বেড়ে গেলে দীর্ঘমেয়াদী বা স্বল্পমেয়াদী স্বাস্থ্যের জটিলতা দেখা দিতে পারে।
 
আমাদের শরীরের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য আমাদের গ্রহনকৃত খাদ্য থেকে শর্করা (চিনি) শক্তিতে রূপান্তর করে। ইনসুলিন নামক হরমোনটি গ্লুকোজকে শক্তিতে পরিণত করার জন্য অপরিহার্য। ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের শরীরে ইনসুলিন পর্যাপ্ত পরিমাণে উত্পাদিত হয় না। এতে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষ যা খায়, যেমন রুটি, সিরিয়াল, ফল এবং স্টার্কি সবজি, legumes, দুধ, দই এবং মিষ্টি তখন এটি শক্তি হিসাবে রূপান্তর হয় না দু:খের বিষয় আমাদের যা খাই তা শক্তি পরিবর্তে মানব শরীরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি করে দেয়। 
 
ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ০৩ টি গ্রুপে ভাগ করা হয় -
 
তিনটি প্রধান ধরনের ডায়াবেটিস রয়েছে: টাইপ 1, টাইপ ২ এবং গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস
 
ডায়াবেটিস  আক্রান্তদের কি ধরনের সমস্যা হতে পারে- 
ডায়াবেটিস আক্রান্তরা সঠিক সময় সঠিক পদক্ষেপ না নিলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনি রোগ, অঙ্গ বিক্লাংগ, বিষণ্নতা, উদ্বেগ এবং অন্ধত্ব সহ টাইপ 1 এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য সম্ভাব্য জটিলতা একই ধরনের হতে পারে।
 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনের ১৩ টি কার্যকর পন্থা -

যেহেতু এখনও পর্যন্ত ডায়াবেটিসের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিত্সা আবিষ্কার হয় নাই তাই প্রতিরোধই একমাত্র উপায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিশেষজ্ঞগণ নানারকম পরামর্শ দিয়ে থাকেন।  ডায়াবেটিক বিষয়ে আমেরিকার আর এসব উপায় নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুর থেকে প্রকাশিত লাইফ স্টাইল ম্যাগাজিন।

১. খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে প্রচুর পরিমান পানি পান করতে হবে। এতে ক্ষুদার তীব্রতা কমবে।

২. কম খাওয়ার অভ্যস্থ করার জন্য  চা-চামচ, স্যালাড ফর্কস  এবং  ছুরি ব্যবহার করুন।

৩.  দোকানে যাওয়ার আগে  প্রয়োজনীয় খাদ্যের একটি তালিকা তৈরি করুন।

৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য একাগ্রতা ও যথেষ্ট সদিচ্ছা থাকতে হবে।

৫. ডায়াবেটিস বা ব্লাড সুগার সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। যেমন: টাইপ-১ বা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিনা তা না বুঝলে কোন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ করে ভালভাবে জেনে নিতে হবে।

৬. প্রতিদিন অন্তত ১০-৩০ মিনিট করে হাটার অভ্যাস করতে হবে। ভাত খাবার সময় অন্তত ১ টেবিল চামচ পরিমাণের রাইস কম খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়া রক্তের সুগারের পরিমাপ রেকর্ড রাখুন।

৭. হিমোগ্লবিন এওয়ানসি (HbA1c) কত রাখা বাঞ্চনিয় তা নির্ধারণের একটি লক্ষ্য থাকতে হবে। ব্লাড সুগার কত মাত্রার মধ্যে রাখতে চান তা নির্ধারত করতে হবে

৮. ডায়াবেটিস চিকিত্সার একটি প্রধান লক্ষ্য হল একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পরিসীমা মধ্যে রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা রাখা। আপনার কার্যকলাপ, লাইফস্টাইল এবং ডায়াবেটিসের ওষুধের সাথে আপনার খাবারের সম্পর্ক নিয়ন্ত্রন করতে হবে ব্লাড সুগার মনিটর করার মাধ্যমে আপনার খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ সমন্বয় করতে হবে।

৯. রক্তের সুগার কমে গেলে দ্রুত চিনি জাতীয় খাবার গ্রহণের মাধ্যমে সুগার ঠিক করতে হবে। অন্যথা জটিলতা তৈরি হতে পারে।

১০. যে ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন নিতে হয় তাদের এ্যারোবিক ব্যায়াম, অন্তত ৩০ মিনিটের জন্য প্রতি সপ্তাহে থেকে বার, ব্যায়াম করা উচিত। উদাহরণ দ্রুত গতিতে হাটা, সাঁতার কাটা, সাইকিং এবং নাচ
 এতে শরীরে ইনসুলিন ভালো কাজ করে। 

১১. ডাক্তারের কাছে যাবার আগে কি খাবার খাচ্ছেন, ব্লাড সুগারের পরিমান, ব্লাড প্রেসার এবং কোন হাইপো হচ্ছে কি না ইত্যাদির একটি তথ্য সাথে নিন।উক্ত তথ্যাদি ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কমপক্ষে ৩/৪ দিন আগে থেকে হতে হবে।

১২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য রক্তের HbA1c কমিয়ে আনতে হবে এবং এটা যদি ১ মাত্রা কমাতে পারেন তবে চোখের সমস্যা ২১ ভাগ কমবে, কিডনি সমস্যা ৩৩ ভাগ কমিয়ে রাখা যাবে। আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বিনিয়োগ করুন যা আপনার ভবিষ্যতে কাজে আসবে।

. ডায়াবেটিস জটিলতার জন্য বছরে কমপক্ষে ০১ বার ডাক্তারের কাছে গিয়ে পুল চেকআপ করাতে হবে।  ডাক্তারের সাথে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করতে ভুলবেন না, আপনি কেমন অনুভব করছেন। বার্ষিক চেকআপে চোখ, ফুট, সঞ্চালন, খাদ্য, ওজন, নিউরোপ্যাটি, হার্ট, রক্তচাপ, থাইরয়েড, ইলেক্ট্রোলাইট, কলেস্টেরল, রক্ত ​​ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত।
 

চলবে----------

Saturday, January 6, 2018

তিত করলার উপকারীতা

বছরের ১২ মাসই তিত করলার ফলন হয় এবং বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। আগে তেতোর ভয়ে অনেকে এই জনপ্রিয় সবজিটি অনেকেই খেত না। তিতা হলেও এই তেতো করলা স্বাধেও অতুলনীয়। কিন্তু ইদানিং বহুগুনে ভরপুর এই তেতো করলা সবজি হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই সবজি ভাজি, ভর্তা বা ঝোলে রান্না করা যায়। তবে স্বাদের চেয়ে এই তেতো করলা ঔষধি গুনের জন্য সবার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।    তিত করলা যে কত খানি উপকারী তা বলে শেষ করা যাবে না।


করলা পরিচিত: তিক্ততার জন্য একে তিত করলা বলে। ইংরেজিতে Bitter gourd, Bitter melon Bitter squash নামে পরিচিত যেগুলো অপেক্ষাকৃত ছোট, গোলাকার, বেশি তিতা, সেগুলোকে বলা হয় উচ্ছে। আর বড় জাতেরগুলোকে করলা হিসাবে পরিচিত। সাধারণত হাল্কা অথবা গাঢ় সবুজ বর্ণের হয়। দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন  অঞ্চল, এশিয়া, আফ্রিকার কিছু অঞ্চল এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে উন্নতমানের করলা পাওয়া যায়।

করলায় কি পরিমান খাদ্যপ্রাণ রয়েছে ?  প্রতি ১০০ গ্রাম করলায় রয়েছে খাদ্যশক্তি ১৭ কিলোক্যালরিপ্রোটিন ১ গ্রাম, ফাইবার ২.৮০ গ্রাম,সোডিয়াম ৫ মিলিগ্রাম, ফোলেট ৭২ মাইক্রো গ্রাম, নিয়াসিন ০.৪০০ মিলিগ্রাম,কার্বোহাইড্রেটস ৩.৭০ গ্রাম, ভিটামিন এ ৪৭১ আইইউ, ভিটামিন সি ৮৪ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ২৯৬ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৯ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৭ মিলিগ্রাম।
এখন জেনে নিই করলার ঔষধি গুন :
ওজন কমাতে তিত করলা : ১০০ গ্রাম করলায় ক্যালরি ১৭ এবং পানির পরিমাণ ৮০-৮৫%।  যার কারনে  আমাদের ওজন ও স্থুলতা কমাতে মহৌষধ হিসাবে কাজ করে করলার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানব দেহের অপ্রয়োজনীয় পদার্থ নিষ্কাশন করে পরিপাক ও বিপাককে শক্তিশালী করে এবং ওজন কমাতে সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করে। তাই করলাকে বলা হয় মানব শরীরের এন্টিবায়োটিক।

ইনফেকশন এর প্রতিশেধক ও এলার্জি নাশক : তিত করলার ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও যে কোনো ইনফেক্শন থেকে রক্ষা করেতাই  ইনফেক্শন থেকে রক্ষা পরিত্রান পেতে প্রতিদিন করলা পাতা বা করলার রস পানি মিশিয়ে খেলে প্রচুর উপকার পাওয়া যায়। এই রস ক্রিমি বিনাস করে এলার্জি সমস্যা সমাধান করে।  

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে তিত করলা : আমরা সবসময় শুনে থাকি, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তিত করলা ও তিতাজাতীয় খাবার উপকার হবে। তাই অনেকে নিমপাতা, মেহেদী পাতার রস/বড়ি, তিত করলার রস খান। এর বৈজ্ঞানিক বা চিকিৎসা শাস্ত্রে কোন ভিত্তি না থাকলেও আমরা খেয়ে যাচ্ছি। তবে খাবারের তিক্ততা আমাদের অগ্ন্যাশয়কে উদ্দীপ্ত করে বিধায় অগ্ন্যাশয় থেকে প্রচুর পরিমান ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। প্রাচীন কাল থেকে ভারতীয় ও চৈনিক চিকিৎসাশাস্ত্র মতে ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে করলার ব্যবহার লক্ষণীয়। রক্তে অপর্যাপ্ত ইনসুলিন নিঃসরিত হলে অথবা ইনসুলিনের কাজ কোনো কারণে বাধাপ্রাপ্ত হলে আমাদের কোষে চিনির শোষণে ব্যাঘাত ঘটে ও  ডায়াবেটিস দেখা দেয়। করলার বিশেষ তিনটি উপাদান, যথা-  charantin, vicine, polypeptide-p রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে রক্তে চিনির মাত্রা হ্রাস করে। করলা এডিনোসিন মনোফসফেট অ্যাকটিভেটেড প্রোটিন কাইনেজ নামক এনজাইম বা আমিষ বৃদ্ধি করে রক্ত থেকে শরীরের কোষগুলোর সুগার গ্রহণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। শরীরের কোষের ভিতর গ্লুকোজের বিপাক ক্রিয়াও বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তের সুগার কমে যায়।

 

 তিতা করলার অপকারিতা :

প্রত্যেক খাবারের ভাল ও খারাপ দিক দু’টোই থাকে, তেমনি তিতা করলারও ভাল দিক যেমন আছে তেমনি অতি সামান্য খারাপ দিকও আছে। তবে খারাপের দিক কম।
১। কম বয়সী বা শিশুদের তিত করলা অল্প পরিমানে খাওয়াবেন। অতিরিক্ত খেলে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
২। গর্ভবতী মহিলাদর অধিক পরিমান খাওয়া যাবে না। কারন এতে মহিলাদের মাসিক প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে। তাই গর্ভবতী মহিলারা না খাওয়ায় বাঞ্চনিয়।
৪। শিশুদের না খাওয়ানোই ভাল  কেননা এতে শিশুদের বমি ভাব, পেট ফাপাসহ পেটের বিভিন্ন পীড়ায় আক্রান্ত হতে পারে ।

 


 


Categories

Unordered List

Sample Text

Blog Archive

Powered by Blogger.

Comment System

Disqus Shortname

Fixed Sidebar (true/false)

Full-Width Version (true/false)

Nature

test

Comments

Government Jobs

Definition List

Unordered List

PageNavi Results No.

Post Top Ad

Search This Blog

Post Top Ad

Your Ad Spot

Post Top Ad

Your Ad Spot

Find Us On Facebook

Random Posts

Social Share

Flickr

Banking Jobs

AD BANNER

Home - Recent Posts (show/hide)

Sponsor

Recent comments

Banking Jobs

Sponsor

ads

Contact Form

Name

Email *

Message *

Responsive Ads Here

Recent in Sports

Ordered List

captain_jack_sparrow___vectorHello, my name is Jack Sparrow. I'm a 50 year old self-employed Pirate from the Caribbean.
Learn More →

Sample Text

Recent Posts

Ads Here

Events

test

Business

Recent Comments

Pages

Responsive Ads Here

Facebook

Popular Posts

Popular Posts

Recent Posts

Ads Here

Text Widget