কলার পুষ্টিগুন সীমাহীন। শরীরের পটাশিয়ামের মাত্রা ধরে রাখতে, হজমের সমস্যা, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়া ত্বকের সুরক্ষা ও চুলের যত্নে কলার জুড়ি নেই। পাকা কলাতে
থাকে TNF বা Tumor Necrosis Factor, যা যে কোন অস্বাভাবিক কোষ
তথা ক্যান্সারকে প্রতিহত করে। পরিপূর্ণ পাকা কলা আমাদের হজমের জন্য ভালো এবং তা
বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এতে থাকে শরীর সহজে শোষণ করতে পারে এমন চিনি যা
কম পাকা কলায় থাকে না। যে কোন ফলেরই ক্যান্সার
প্রতিরোধ করার ক্ষমতা নির্ভর করে তাঁর সম্পূর্ণ পাকা হওয়ার ওপরে। ফল যত পাকা, তাঁর
ক্যান্সারের সাথে লড়াই করার ক্ষমতাও তত বেশী। কলার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়।
ত্বকের সুরক্ষায়: শুধু শুষ্ক তক নয়, যাদের জয়েন্ট কিংবা কনুই বা গোড়ালির ত্বক
শুষ্ক হয়ে কালো হয়ে গেছে তারা পাকনা কলা পেষ্ট করে লাগিয়ে দেখতে পারেন। এতে উপকার
পাওয়া যেতে পারে।
মুখের বলিরেখা ও বার্ধক্য গোপন করতে কলার ভূমিকা: ত্বকের বলিরেখা কমিয়ে শুষ্ক ভাব দুর করতে
প্রয়োজন ভিটামিন এ ও ই
, যাহা
পাকা কলার মধ্যে বিদ্যমান। তাই পাকা কলার পেষ্ট তৈরী করে মুখে লাগিয়ে আধা ঘন্টা সময় অপেক্ষা
করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ২/৩
বার নিয়মিত করে দেখুন। এতে ত্বকের পরিবর্তন লক্ষ করুন।
চুলের পুষ্টিতে কলা: যাদের চুল রুক্ষ কিংবা শক্ত তাদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে কলা।
পরিমান মতো কলা ও নারিকেল তেলে পেষ্ট বানিয়ে চুলে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা
করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার চুল আগের তুলনায় কত মোলায়েম।
চোখের পাশে ফোলা ভাব ও
কালি পড়া রোধে কলা: পরিমান মতো
পাকা কলার পেষ্ট তৈরী করে চোখের চার পাশে লাগান। ১৫/২০ মিনিট
অপেক্ষা করে মুখ ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন।
ময়শ্চারাইজার: পাকা কলার সঙ্গে মধু মিশিয়ে
তৈরি করুন প্যাক। এই প্যাক ত্বক ময়শ্চারাইজ করার জন্য অসাধারণ। মুখে লাগিয়ে রাখুন
২০-৩০ মিনিট। পানি দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন।
এক্সফোলিয়েশন: পাকা কলা ও ব্রাউন সুগার দিয়ে
স্ক্রাব ত্বকের এক্সফোলিয়েশনে অসাধারণ কাজ দেয়। লবন বা ওটমিস অথবা এপ্রিকট গুঁড়ো
কলার সঙ্গে মিশিয়েও স্ক্রাব তৈরি করতে পারেন।
0 comments:
Post a Comment